Tuesday, August 9, 2022
  • Login
  • প্রচ্ছদ
  • দেশ
  • বিশ্ব
  • প্রযু্ক্তি
  • সারা দেশ
  • খেলাধুলা
    • বিশেষ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • বিনোদন
    • চলচ্চিত্র
    • নাটক
    • ওয়েব সিরিজ
    • সংগীত
  • ফিচার
    • বিশেষ পুরস্কার
    • বিশেষ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • দেশ
  • বিশ্ব
  • প্রযু্ক্তি
  • সারা দেশ
  • খেলাধুলা
    • বিশেষ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • বিনোদন
    • চলচ্চিত্র
    • নাটক
    • ওয়েব সিরিজ
    • সংগীত
  • ফিচার
    • বিশেষ পুরস্কার
    • বিশেষ
No Result
View All Result
No Result
View All Result

সিনেমা দেখে পান জীবনের প্রেরণা, ৬২ বছর বয়সে মাস্টার্স পাস করলেন আরেফা

সিনেমা দেখে পান জীবনের প্রেরণা, ৬২ বছর বয়সে মাস্টার্স পাস করলেন আরেফা
SHARE

মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারান আরেফা হোসেন। আট বছর বয়সে হারান বাবাকে। পাঁচ বোনের মধ্যে আরেফা তৃতীয়। অভিভাবক ছিলেন একমাত্র বড় বোন। কিন্তু অল্প বয়সেই বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। পরে বাকি তিন বোনসহ তার আশ্রয় হয় একটি অনাথ আশ্রমে।

অনাথ আশ্রম থেকে ভর্তি হন মিশনারি স্কুলে। মাধ্যমিকে পড়াশোনা করার সময় বাংলা একটি সিনেমা দেখেন তিনি। যে সিনেমায় দেখানো হয়- এক এতিম মেয়ে স্বেচ্ছায় মানুষকে সেবা দিচ্ছে। সেই সিনেমা দেখার পর স্বপ্ন বুনতেন- তিনিও একদিন সেবিকা হবেন। ১৯৭৬ সালে মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে ভর্তি হোন। সেখান থেকে ১৯৮১ সালে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮২ সালের ৬ জুন ঠাকুরগাঁও মহকুমা হাসপাতালে (বর্তমানে আধুনিক সদর হাসপাতালে) নার্স হিসেবে যোগদান করেন।

চাকরির দুই বছর পরেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বছর না যেতেই কোলজুড়ে আসে সন্তান।  একদিকে সংসারের ব্যস্ততা অন্যদিকে কর্মময় জীবন। এগুলো বাদ দিয়ে আলাদা কোনো বিষয়ে মনোনিবেশ করার সুযোগ ছিল না তার। তবে মনে তার সুপ্ত বাসনা তাড়া করতো উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে আবার শুরু করেন পড়াশোনা।

১৯৯৬ সালে বিএসসি করার জন্য ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মহাখালী সেবা মহাবিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ১৯৯৮ সালে স্নাতক শেষ করেও ক্ষান্ত হননি তিনি। পরে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার জন্য ভর্তি হন। ২০১৯ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করে চলতি বছরের ১৫ জুন ৬২ বছর বয়সে সনদ গ্রহণ করেন তিনি ৷ এই বয়সে আরেফা হোসেনের উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি অর্জনের বিষয়টি জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ইসলামবাগের বাসিন্দা আরেফা হোসেন। ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর চাকরিজীবনের ইতি ঘটে তার। একই বছরের ৭ নভেম্বর তিনি স্বামীকে হারান। বর্তমানে দুই ছেলে সন্তান নিয়ে তার পরিবার। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ৩৮ বছরের চাকরিজীবন শেষ করে বর্তমানে তিনি ঠাকুরগাঁও নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন।

 

আরেফা হোসেন বলেন, আমার জন্ম নওগাঁ জেলায়। সেখানেই আমাদের বাড়ি ছিল। আমরা পাচঁ বোন ছিলাম। ছোট বেলায় মা-বাবা মারা যায়। বড় বোন আমাদের দেখাশোনা করতেন। কিছুদিন পর বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায়। তখন আমাদের দেখাশোনা করার মতো কেউ ছিল না। আমিসহ আমরা তিন বোন সেখানে এক অনাথ আশ্রমে থাকা শুরু করি। সেই অনাথ আশ্রমেই সময়টা কেটেছে। এক বদ্ধপরিকর জীবন কেটেছে আমাদের। যেহেতু এতিম, সেহেতু এর বাইরে আলাদাভাবে জীবন কাটানোর কোনো সুযোগ হয়ে ওঠেনি।

 

ছোটবেলায় সবার মনে বড় হয়ে কিছু হওয়ার ইচ্ছে থাকে। তবে আমার স্বপ্ন বা ইচ্ছাটা ছিল একটু অন্যরকম। যেহেতু মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা করেছি সেখানেই থেকেছি। আমি একটি বাংলা সিনেমা দেখেছিলাম। সিনেমায় দেখানো হয়- এক বাবা-মা হারা মেয়ে মানুষকে সেবা দিচ্ছে। সেই সিনেমার ওই চরিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও মনে মনে ভেবেছিলাম যে, মানুষের সেবা করব। সেবিকা হিসেবে আমিও মানুষের পাশে থাকব। তারপর নার্সিং কলেজে ভর্তি হই। সেখানে পড়াশোনা শেষ করি।

 

dhakapost

তিনি বলেন, যখন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন খুব অসহায় হয়ে যায়। তিনি যে পরিবারের হোক বা যতই ধনবান হোক। এ পেশায় থাকাকালীন বিভিন্ন রোগী ও তাদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকায় সেবিকা পেশাটা মহৎ পেশা বলে আমি মনে করি। যে পেশায় মানুষকে খুব কাছ থেকে সহযোগিতা করা যায়।

আরেফা হোসেন আরও বলেন, আমার ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার। কিন্তু চাকরির পর বিয়ে তারপর সন্তান হয়ে যায়। মনে হয়েছিল হয়তো আর উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারব না। তবে আমার স্বামী আমাকে সাহস দিয়েছেন। তার অনুপ্রেরণায় আমি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পেরেছি। তিনি আমাকে বলেছিলেন- উচ্চশিক্ষার যেহেতু সুযোগ আছে তুমি ভর্তি হয়ে যাও। আমি এই বয়সে মাস্টার্স করেছি আমার স্বামীর অনুপ্রেরণায়। যদিও তিনি আমার সফলতা দেখে যেতে পারেননি। ২০১৯ সালে তিনি মারা গেছেন। আর আমি এ বছরে মাস্টার্স শেষ করে সনদ পেয়েছি। আসলে জীবন মানে সংগ্রাম। কথায় আছে যে রাধে, সে চুলও বাঁধে। সংসার আর চাকরির সঙ্গে পড়াশোনাটা একটা যুদ্ধের মত ছিল। যদি মানুষ ইচ্ছে করে আর পরিশ্রম করে, তবে সফল হওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি।  এই বয়সে পড়াশোনা করতে অনেক পরিশ্রম হয়েছে। এত বেশি চাপ নিতে হয়েছে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সফলতার সনদ পেয়ে সব কষ্ট হারিয়ে গেছে। আমার দুই ছেলে। ছোট ছেলে প্রথমদিকে বিষয়টিকে আলাদাভাবে দেখলেও এখন অনেক খুশি। আর আমার বড় ছেলে বলে- আম্মু তুমি আর আমি একসঙ্গে পিএইচডি করব। তারা অনেক খুশি হয়েছে।

 

Share this:

  • Twitter
  • Facebook

Like this:

Like Loading...

আরও পড়ুন

বাবা মা সুশিক্ষা ও আদর্শ দিয়ে বড় করেছেন বলেই মানবিক কাজ করতে পারছি

বাবা মা সুশিক্ষা ও আদর্শ দিয়ে বড় করেছেন বলেই মানবিক কাজ করতে পারছি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব ব্যবহার করেন তারা ফিরোজ হাসানকে চিনেন না এমন মানুষ...

 ‘পদ স্টেশন কন্ট্রোলার হলেও ট্রেন চালাতে হতে পারে, এটা আসলেই রোমাঞ্চকর ব্যাপার’

 ‘পদ স্টেশন কন্ট্রোলার হলেও ট্রেন চালাতে হতে পারে, এটা আসলেই রোমাঞ্চকর ব্যাপার’

আসমা আক্তার রাজধানীর তিতুমীর কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক  শেষ করেন। স্টেশন কন্ট্রোলার পদে নিয়োগ পেয়েছেন ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট। তিনি...

মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক মরিয়ম আফিজা

মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক মরিয়ম আফিজা

দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালানোর জন্য নিয়োগ পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের মেয়ে মরিয়ম আফিজা । আরও একজন নিয়োগ পেয়েছেন তার নাম আসমা আক্তার।...

দেশের সুখে দুঃখে টাইগার শোয়েব!

দেশের সুখে দুঃখে টাইগার শোয়েব!

ক্রিকেট মাঠের গ্যালারীতে বাঘের সাজেঁ যাকে দেখা যায় তিনি শোয়েব আলী, সবাই তাকে টাইগার শোয়েব নামেই চিনেন। ক্রিকেটকে ভালোবেসে বাঘের...

মেয়র আনিসুল হক বলতেন ‘করভী কাজটা শুরু করো, ফেল করলে নতুন পথ খুঁজে পাবে’!

মেয়র আনিসুল হক বলতেন ‘করভী কাজটা শুরু করো, ফেল করলে নতুন পথ খুঁজে পাবে’!

একদিন বেশ ক'জন পথশিশুকে দেখলাম ওরা ডাস্টবিনের পাশে বসে খেলছে। তখন তাদের পাশে গেলাম এবং বললাম, তোমরা আমার সাথে খেলবে...

Next Post
নতুন অধিনায়কত্ব পেলেন ‘নুরুল হাসান সোহান

নতুন অধিনায়কত্ব পেলেন ‘নুরুল হাসান সোহান

মোস্তাফিজের ভক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও তার ছেলে মেয়ে!

মোস্তাফিজের ভক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও তার ছেলে মেয়ে!

LIVE CRICKET

Live Cricket Scores
https://www.youtube.com/watch?v=kSYWBPrinKI

শীর্ষ

বাংলাদেশের ১০ গোল তুরস্কের জালে

পরাণে নারী ফুটবলাররা

নেপালকে মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব

বাবা মা সুশিক্ষা ও আদর্শ দিয়ে বড় করেছেন বলেই মানবিক কাজ করতে পারছি

৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ তামিমের

৯ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ২ প্রতিষ্ঠান পেলেন শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার

Facebook Twitter
https://youtu.be/kSYWBPrinKI

channelpriyo.com is one of the most popular digital content creator platfrom published with info from all over the world, success story, literature, feature lifestyle, culture, sports, technology

we are working to develop young people as skilled, We are hopeful that through us the youth will work in the reputed media of the country with their skills
The triumph of youth is the mainstay of the news media, This kind of news is published by the Facebook and youtube published video report of channel priyo, The authorities hope that the channel will one day bring fame to the world

Contents

  • ওয়েব সিরিজ
  • ক্রিকেট
  • খেলাধুলা
  • চলচ্চিত্র
  • দেশ
  • প্রযু্ক্তি
  • ফিচার
  • ফুটবল
  • বিনোদন
  • বিশেষ
  • বিশেষ পুরস্কার
  • বিশ্ব
  • ভ্রমণ
  • সাহিত্য

About Us | Contact Us | Privacy Policy | Terms Of Use | Disclaimer
Shohor Media Limited | শহর মিডিয়া লিমিটেড

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • দেশ
  • বিশ্ব
  • প্রযু্ক্তি
  • সারা দেশ
  • খেলাধুলা
    • বিশেষ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
  • বিনোদন
    • চলচ্চিত্র
    • নাটক
    • ওয়েব সিরিজ
    • সংগীত
  • ফিচার
    • বিশেষ পুরস্কার
    • বিশেষ

About Us | Contact Us | Privacy Policy | Terms Of Use | Disclaimer
Shohor Media Limited | শহর মিডিয়া লিমিটেড

Welcome Back!

OR

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
%d bloggers like this: